রবিউল আলম

ফুটবল প্রেমিদের মিলনমেলা ছিলো বাংলাদেশের দখলে। বাংলাদেশিদের উন্মাদনা ছিলো বিশ্ব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। মেসির গোল্ডেন বল, এমবাপ্পের গোল্ডেন বুটে বিশ্বকে একটি নতুন বার্তা দিয়েছে। মেসির শেষ বিশ্বকাপ রঙিন, আগামী দিনের বিশ্ব তারকা এমবাপ্পে। বিশ্বকাপ কাতারে হবেও বাংলাদেশের দখলে ছিলো উন্মাদনা। বিশ্বকে অবাক করেছে। বিস্মিত হয়েছে আর্জেন্টিনার সর্বসাধারণ, ব্রাজিলও কম যায়নি। বাংলাদেশের পতাকা ছিলো সবার হাতে। আমি বিস্মিত হয়েছি, বিশ্বকাপ ফুটবল না খেলেও বিশ্বকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার টেবিলে আনতে পেরে। এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে বাঙালির উন্মাদনার জন্য। আমার মতো একজন ফুটবলবিমুখ মানুষকেও জাগিয়ে তুলেছে, আলহাজ্ব মো. সাদেক খান এমপি। রাতে খেলা দেখতে হবে, আদেশ করা হলো। 

বিশাল পর্দা, খাওয়া দাওয়া, নাচে গানে একাকার। তার সন্তান এডভোকেট ফাহিম সাদেক খান, সহধর্মিনী ফেরদৌসী খানম, নতি-নাতনি সহ নির্বাচনী এলাকার ছিলো আর্জেন্টিনার দখলে। এই বয়সে গোল নিয়ে চিক্কার। এমবাপ্পের হ্যাটিট্রিকের আনন্দ ছিলো বিষণ্নতায় ভরা। ইস-উস শব্দে কিছুটা হলেও অস্তিত্ব হচ্ছিলো। মেসির যাদুকরী ফুটবল, এমবাপ্পের হ্যাটিট্রিক, ফ্রান্সের অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের কিছুটা মুসকি হাসিতেও বিষণ্নতা লক্ষ্য করেছি। মেসি কি ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হবেন?  

আমার মায়াটা ছিলো মেসিকে নিয়ে। এমবাপ্পের সামনে অনেকটা সময় আছে। মেসির মায়ের মুখটা আমার দুর্বলতার কারণ, আর্জেন্টিনাদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা, ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশকে মাই লাভÑ বলা আমাদের কম অর্জন ছিলো না। একসময় ম্যাডোনা বাংলাদেশের নামটা জানতেন না। আমার দেখা বিশ্ব ফুটবলের বিশ্বকাপ কাতার ছিলো বিশ্বসেরা। এশিয়া নিয়ে গর্ব করতেই পারি। ভাগ্য সহায়ক হলে, কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা যেতো। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি